পিডিবিতে হরিলুট: নিয়ন্ত্রণ করছে পুরানো সিন্ডিকেটরাই

বিবিয়ানায় ৪ কোটি টাকার মালামাল কিনছে ১০ কোটি টাকায়

82

সকল শর্থ পূরণ করার পরও সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ না দিয়ে তৃতীয় দরপত্র দাতাকে কাজ দেওয়ার চেষ্টা করছে পাওয়ার ডেভেলাপমেন্ট বোড পিডিবি। এতে করে সরকারের ক্ষতি হচ্ছে অন্তত ৬ কোটি টাকা।

- Advertisement -

- Advertisement -

সাড়ে ৪ কোটি টাকার মালামাল কিনছে তারা সাড়ে ১০ কোটি টাকায়। একাধিক সূত্র বলেছে, গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলেও পিডিবির দুনীর্তিবাজ চক্র কাজ করছে বহাল তবিয়তে। গত আট মাসে এই চক্রটি কম করে হলেও হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় শত কোটি টাকা।

জানা গেছে, হবিগঞ্জ বিবিয়ানা-৩৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড বিদ্যুতকেন্দ্রে গ্যাস বুস্টার কমপ্রেসারের জন্য ড্রাই গ্যাস সিল কেনার জন্য গত বছরের ১০ নভেম্বর দরপত্র আহ্বান করে পিডিবি। এতে ৬টি দরপত্র জমা পড়ে। সর্বনিম্ন দরদাতা দর দেয় ৪ লাখ ১৩ হাজার ৫৮৭ ইউরো, বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা। দুই সর্বনিম্ন দরদাতা জে এন্ড সি ইমপেক্স লিমিটেড এবং ভল্ট মিলস ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডকে কৌশলে বাদ দেয়া হয়। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতা দর দেয় ৪ লাখ ৫৩ হাজার ইউরো। কিন্তু তাদের না ডেকে এক অজ্ঞাত কারনে দরপত্রে তৃতীয় হওয়া ঈগল বার্গম্যান ইন্ডিয়া লিমিটেডকে সাড়ে ১০ কোটি টাকায় কাজ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। যা সর্বনিম্ন দরদাতার চেয়ে দিগুনেরও বেশি। বিষয়টি জানাজানি হলে হৈচৈ পড়ার ভয়ে চুপিসারে তারা কাজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। দরপত্রে ওয়েবার পাওয়ার সলিউশন লিমিটেড, দ্যা সিভিল ইঞ্জিনিয়াস লিমিটেড এবং ভেটসুট ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডও অংশ নেয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পিডিবির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তার অফিস থেকে জানানো হয়, এ ব্যাপারে প্রধান প্রকৈৗশলী জাহাঙ্গীর আলম কথা বলবেন। কিন্তু অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও এখনও তার সিন্ডিকেটরাই এসব দুনীতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বরং এখন অনেকটা ফ্রিস্টাইলে চলছে এসব অনিয়ম।