‘অস্ত্র লুট’ ও ‘মব জাস্টিস’ হয়েছে, আর বরদাশত নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

16

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় দেশের বিভিন্ন থানায় ‘অস্ত্র লুট’ হয়েছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ‘অনেক মব জাস্টিস’ সংঘটিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে যশোরে সশস্ত্র বাহিনী ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “মব জাস্টিস আর অ্যালাউ (অনুমোদন) করা যাবে না। অনেক হয়েছে। কারও কোনো অভিযোগ থাকলে আইনের আশ্রয় নেবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে।”
সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় বিভিন্ন থানায় অস্ত্র লুটের প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “গণ-অভ্যুত্থানে দেশের বিভিন্ন থানা থেকে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে, তার সব এখনো আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। যত দ্রুত সম্ভব এসব অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।”
জামিনে অপরাধীদের মুক্তির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “অনেক বড় বড় সন্ত্রাসী জামিনে মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। আমাদের আরও বেশি কেয়ারফুল হতে হবে। জামিন তো আমাদের হাতে নেই, বিচারকরা বিবেচনা করে দিচ্ছেন।” এ সময় তিনি আদালতের সরকারি কৌঁসুলিদের (পিপি) আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা অরাজনৈতিক সরকার। আপনারা আমাদের কাছ থেকে বেশি সুবিধা নিতে পারেন। পোস্টিংসহ নানা বিষয়ে আমরা অনুরোধ-তদবির এড়িয়ে চলি। যদিও শতভাগ পারিনি, তবে চেষ্টা করছি। থানার ওসি যেন ঘুষ না খায়, সেটা আপনারাই দেখবেন।”
আত্মীয়-পরিচিতদের তদবির প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “সরকারে আসার পর আত্মীয়-বন্ধুর সংখ্যা বেড়ে গেছে। কেউ আত্মীয় পরিচয়ে কিছু চাইলে প্রথমবার চা খাওয়ান, দ্বিতীয়বার পুলিশে দিন। কারও রিকোয়েস্ট থাকলে আমি নিজেই ফোন করব।”
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা মাদক। ১৫ হাজার বোতল ফেনসিডিল ছেড়ে দিয়ে ৫০০ বোতল রিকভার দেখানো-এটা বন্ধ করতে হবে।”
সভাটি যশোর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসক মো. আজহারুল ইসলামসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

- Advertisement -

- Advertisement -

You might also like