থেমে গেল আর্সেনালের যাত্রা, ফাইনালে পিএসজি

19

আর্সেনালের ইউরোপ সেরার স্বপ্ন ভেঙে গেল প্যারিসে। অনেক আশা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে এলেও শেষ পর্যন্ত আর এগোনো হলো না মিকেল আর্তেতার দলের। দুই লেগ মিলিয়ে পিএসজির দারুণ পারফরম্যান্সে বিদায় নিতে হলো ইংলিশ ক্লাবটিকে।
একসময় যাদের ইউরোপিয়ান সফলতা ছিল কেবল কল্পনার গল্প, তারা আজ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। পার্ক দেস প্রিন্সেসে বুধবার রাতটা ছিল প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)-এর স্বপ্ন পূরণের পথে আরেকটি সাহসী পদক্ষেপ। প্রথম লেগে এগিয়ে থেকে ফিরতি লেগেও আর্সেনালকে ২-১ গোলে হারিয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পা রাখল লুইস এনরিকের দল।
আগামী ১ জুন জার্মানির মিউনিখে অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে পিএসজির প্রতিপক্ষ ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলান।
ম্যাচের শুরুতে কিছু সময়ের জন্য মনে হচ্ছিল, আর্সেনাল বুঝি ফিরতে পারে। বুকায়ো সাকা ও মার্টিন ওডেগারদের দারুণ গতিময় আক্রমণে শুরুতেই চাপে পড়ে পিএসজি। তবে তাদের সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান ইতালিয়ান গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা।
খেলার ২৭ মিনিটে পিএসজি প্রথম গোলের দেখা পায় সম্পূর্ণ খেলায় বিপরীত ধারা সৃষ্টি করে। আর্সেনালের থমাস পার্টের ভুল হেড থেকে বল পেয়ে যান ফাবিয়ান রুইজ। বল নিয়ন্ত্রণে এনে দুর্দান্ত শটে আর্সেনাল জালের ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি—এটি তার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ক্যারিয়ারের ৪৬ ম্যাচে প্রথম গোল।
দ্বিতীয়ার্ধে আর্সেনাল ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও দোন্নারুম্মা ছিলেন অটল। ৬৪ মিনিটে সাকার শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। এরপর ৬৯ মিনিটে আশরাফ হাকিমির শট হাতে লাগিয়ে পেনাল্টি উপহার দেন লুইস-স্কেলি। তবে ভিটিনহার নেওয়া দুর্বল শট ফিরিয়ে দেন ডেভিড রায়া, যেন কিছুটা আশা জাগিয়ে তোলেন গানার ভক্তদের মনে।
কিন্তু ৭২ মিনিটে সেই হাকিমিই দেম্বেলের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে চোখ ধাঁধানো এক ফিনিশিংয়ে পিএসজিকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। যদিও ৭৬ মিনিটে সাকা একটি গোল শোধ দেন, এরপর তার মিস করা সুযোগটি আর্সেনালের রাতটিকে শেষ করে দেয়।
২০২০ সালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-০ গোলে হেরে ইউরোপ সেরার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল পিএসজির। পাঁচ বছর পর আবার সেই মঞ্চে, এবার প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলান। ফ্রেঞ্চ জায়ান্টরা জানে, এবার ভুল করার সুযোগ নেই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি পিএসজির দ্বিতীয় ফাইনাল। আর একটি জয় তাদের এনে দিতে পারে ক্লাব ইতিহাসের প্রথম ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের ট্রফি।
পিএসজির সামনে এখন কেবল একটি বাধা—ইন্টার। দোন্নারুম্মা, হাকিমি, দেম্বেলে, এমবাপে ও রুইজের মত তারকারা যদি আবার একসঙ্গে জ্বলে ওঠেন, তাহলে প্যারিস হয়তো এবার সত্যি ইতিহাস লিখবে।

- Advertisement -

- Advertisement -

You might also like