আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রাতে সভার পর সাংবাদিকদের সামনে উপদেষ্টা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত পড়ে শোনান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, “উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে পরবর্তী কার্যদিবসের পরিপত্র পরবর্তী জারি করা হবে বলেও জানান আসিফ নজরুল।
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদিত হয়। এতে বলা হয়েছে, ট্রাইবুনাল কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।
অন্তর্বর্তী সরকার এর আগে ট্রাইব্যুনালের আইনের যে সংশোধনী এনেছিল সেখানে সংগঠনের বিচারের বিষয়টি ছিল না।
এর পাশাপাশি, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই ঘোষণাপত্র আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত করে প্রকাশ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।