গাজার পথে গ্রেটা থুনবার্গদের ত্রাণবাহী জাহাজ জব্দ করল ইসরায়েল

1

‘মেডলিন’ নামে একটি যাত্রীবাহী মানবিক সহায়তা জাহাজকে গাজা উপকূল থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে আটকে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। জাহাজে ছিলেন ১২ জন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী, যাদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনের কর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন।

- Advertisement -

- Advertisement -

ব্রিটিশ পতাকাবাহী এই জাহাজটি ১ জুন ইতালির সিসিলি দ্বীপের ক্যাটানিয়া বন্দর থেকে গাজার উদ্দেশে রওনা হয়। এর লক্ষ্য ছিল নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেও বন্ধুত্বপূর্ণ সহানুভূতির বার্তা পৌঁছে দেওয়া।

যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ফরাসি-প্যালেস্টাইন বংশোদ্ভূত এমপিপি রিমা হাসান, ব্রাজিল ও স্পেনের মানবিক কর্মীসহ অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা।

জাহাজটি শিশুদের খাদ্য, চিকিৎসাসামগ্রী ও মৌলিক উপকরণসহ বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী বহন করছিল।

৪ জুন রাতে ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমায়, গাজা থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে, জাহাজটির আশেপাশে ড্রোনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

যাত্রীরা একে সম্ভাব্য ‘হোস্টেজ পরিস্থিতি’ হিসেবে বর্ণনা করেন। পরিস্থিতি আরও জটিল হয় যখন ইসরায়েলি নৌবাহিনীর জাহাজ জোনে প্রবেশ করে এবং ‘সাদা রঙের স্প্রে’ জাতীয় একটি রাসায়নিক পদার্থ ছোঁড়ে বলে অভিযোগ ওঠে, যা জাহাজের কর্মীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর জাহাজের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

পরবর্তীতে জানা যায়, ইসরায়েলি বাহিনী জাহাজে অভিযান চালিয়ে সেটিকে আটক করে। তাৎক্ষণিকভাবে জাহাজটিকে আসডোড বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই অভিযানে অনুমোদন দিয়ে বলেন, “যে কোনো উপায়ে ‘ঘৃণার ফ্লোটিলা’কে গাজায় পৌঁছাতে দেওয়া যাবে না।”

পরে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘সেলফি-ইয়ট’ নামে পরিচিত এই জাহাজটি নিরাপদে বন্দরে আনা হয়েছে এবং যাত্রীদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

ইসরায়েল দাবি করেছে, এই অভিযান কেবল তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে পরিচালিত হয়েছে। তারা বলছে, অনুমোদিত চ্যানেলের মাধ্যমেই গাজায় ত্রাণ পাঠানো যেতে পারে। তবে এই অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো একে জলদস্যুতা বলে অভিহিত করেছে। জাতিসংঘের বিশেষ র‍্যাপোর্টাররাও বারবার আহ্বান জানিয়েছেন, মানবিক ফ্লোটিলাগুলোর নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে।

You might also like