চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের ভরা মৌসুমে ঈদের দীর্ঘ ছুটির কারণে বিপাকে পড়েছেন আমচাষি, বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। ভালো ফলন হলেও পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় আম পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।
বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিস ৫ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকায় বড় ধরনের অনলাইন মার্কেটও স্থবির হয়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারেও। আমের দাম মণপ্রতি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
চাষি ফারুক আহমেদ বলেন, “১ জুন থেকে কানসাটে গোপালভোগ, ক্ষীরশাপাত, ল্যাংড়া আম বাজারে উঠেছে। দাম ভালোই ছিল। কিন্তু ছুটির কারণে দাম এখন অনেক কমে গেছে।”
চাষি তারেক রহমান বলেন, “এখন গাছে প্রচুর পরিপক্ব আম। কিন্তু কুরিয়ার বন্ধ থাকায় পাড়তে পারছি না। এতে সময় নষ্ট হচ্ছে এবং পচে যাওয়ার ভয়ও আছে।”
কানসাট বাজারের ইজারাদার শফিকুল ইসলাম বলেন, “ঈদের আগের দুদিন এবং ঈদের পরের তিনদিন বেচাবিক্রি কম থাকলেও ৫-৭ দিনের মধ্যে আবার বাজার স্বাভাবিক হবে।”
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইয়াছিন আলী বলেন, “পরিপক্ব আম বেশিদিন গাছে রাখা যায় না। আবার সংরক্ষণেরও তেমন ব্যবস্থা নেই। তাই চাষিদের কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমরা ছুটির সময় আম না পাড়ার পরামর্শ দিয়েছি।”
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ।
কুরিয়ার সার্ভিস ১০ জুন থেকে চালু হওয়ার কথা থাকলেও ইতোমধ্যে বাজারে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে সময় লাগবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।