দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদ ৮৮ বিশিষ্ট প্রবাসীর

24

 

 

- Advertisement -

- Advertisement -

গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়েছে ৮৮জন প্রবাসী সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিক্ষক-গবেষক, সংস্কৃতি ও অধিকার কর্মী।

এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি, প্রিয় স্বদেশে আমাদের দীর্ঘদিনের সহকর্মী সাংবাদিক ভাই-বোনদের উপরে নেমে এসেছে অবর্ণনীয় নির্যাতন। একই সাথে আজকের বাংলাদেশে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমেও মতপ্রকাশের নানারকম লিখিত ও অলিখিত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে বাক্‌স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে, যা আমাদের কাছে অত্যন্ত লজ্জাজনক ও ঘৃণ্য পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত।

বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ১১ মাসে বিভিন্ন পর্যায়ে ও বিভিন্ন প্রক্রিয়ায়  ধারাবাহিক সাংবাদিক নির্যাতন চলছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য মতে, বিগত ১১ মাসে অন্তত ৪১২ জন সাংবাদিককে হত্যা মামলাসহ হয়রানিমূলক নানারকম মামলায় আসামি করা হয়েছে। ৩৯ জন সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তিন শতাধিক সাংবাদিকের ওপর। শতাধিক সাংবাদিকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ। হেনস্তামূলক দুর্নীতির মামলা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমশিনে।

আরও বলা হয়, ঢাকাসহ সারা দেশের সহস্রাধিক সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতি, ১৬৮ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল, জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ সারা দেশের প্রেসক্লাবগুলো থেকে ১০১ জন সাংবাদিকের সদস্যপদ স্থগিত, বাতিল ও বহিষ্কার এবং মিডিয়া দখলের মতো নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলন ও পরবর্তী সময়ে ১০ জন সাংবাদিক নিহত এবং অগণিত সাংবাদিক আহত হলেও সরকারের তরফ থেকে আক্রান্ত সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের প্রতি কোনো সহযোগিতার হাত প্রসারিত হয়নি, বরং নির্যাতনের কালো হাতের সম্প্রসারণ ঘটেছে।

বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠান কানাড থেকে প্রকাশিত নতুন দেশের প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগর।

বিবৃতিতে বলা হয়, পত্রিকা অফিসের সামনে মব সৃষ্টি করে ‘জেয়াফত’-এর মতো বে-নজির ঘটনাও দেখেছে দেশবাসী। যা শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বেও সম্ভবত বিরল ঘটনা। এসব নির্যাতন ও নিপীড়নের ফলে অনেক সাংবাদিক ও তাদের পরিবার অবর্ণনীয় মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কষ্ট ভোগ করছে এবং মানবেতর জীবন-যাপন করছে। বলাবাহুল্য, উল্লেখিত সংখ্যাগুলো প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিবৃতিদাতারা বলেন, “আমরা মনে করি এসব নির্যাতনমূলক কর্মকাণ্ড মূলত বাক্‌স্বাধীনতাকে হরণ করছে, যার ফলে সর্বত্র দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এমনকি, এসব ঢালাও মামলা ও চাকরিচ্যুতিসহ অন্যান্য নির্যাতনমূলক ঘটনার প্রতিকারে সরকারের তরফ থেকে কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি, বরং উল্টোটাই দেখা গেছে। এতে আমাদের সন্দেহ জেগেছে যে, খোদ সরকারই নির্যাতন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত। বাংলাদেশে এখন একটি অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এবং শান্তিতে নোবেল বিজয়ী একজন ব্যক্তি সরকারপ্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন। তা ছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরাও অতীতে সাংবাদিকদের অধিকার সুরক্ষায় সোচ্চার ছিলেন। অথচ আজকে তাদের হাতেই সাংবাদিক নির্যাতন ও বাক্‌স্বাধীনতা হরণের ঘটনা ঘটছে, যা আমাদেরকে হতাশ ও আহত করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের ভূখণ্ডের ইতিহাসে সাংবাদিকদের ওপরে এমন নির্যাতন-নিপীড়ন, চাকরিচ্যুতি ও গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ ও কলম থামিয়ে দেবার ঘটনা অতীতে ঘটেনি। গণতান্ত্রিক বিশ্বের কোথাও ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই। আমরা সাংবাদিকদের ওপর নজিরবিহীন নির্যাতন ও বাক্‌স্বাধীনতা হরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিবৃতিদে যারা সম্মতি দিয়েছেন-

সৈয়দ বদরুল আহসান, সিনিয়র সাংবাদিক, গবেষক ও লেখক, ইউকে

ড. মুকিদ চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও গবেষক, ইউকে

সুজাত মনসুর, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক, ইউকে

আশেকুন নবী চৌধুরী, সাংবাদিক, ইউকে

সৈয়দ আনাস পাশা, সাংবাদিক ও সম্পাদক, সত‍্যবাণী, ইউকে

মোহাম্মদ মকিস মনসুর, সাংবাদিক ও চেয়ারম্যান, ইউকে বিডি টিভি, ইউকে

সৈয়দ এনামুল ইসলাম, সাবেক সম্পাদক, সাপ্তাহিক সিলেটের ডাক, ইউকে

টি এম আহমদ কায়সার, কবি ও প্রতিষ্ঠাতা, সৌধ, ইউকে

জেসমিন চৌধুরী, মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার অ্যাক্টিভিস্ট, ইউকে

সফিয়া জাহির, কবি, ইউকে

সৈয়দ হিলাল সাইফ, সাংবাদিক ও ছড়াকার, ইউকে

ড. রায়হান রশিদ, আইনজীবী ও অধিকার কর্মী, ইউকে

ড. নওরীন তামান্না, আইনজীবী, অধিকার কর্মী ও শিক্ষক, ইউনিভার্সিটি অব রিডিং, ইউকে

ওয়ার্দা ইসলাম, আইনজীবী ও অধিকার কর্মী, ইউকে

মুরসালিন মিজান, সাংবাদিক, ইউকে

তুষার আহমেদ, অধিকার কর্মী, ইউকে

হামিদ মোহাম্মদ, সাংবাদিক ও কবি, ইউকে

সাব্বির খান, সাংবাদিক ও লেখক, সুইডেন

আকতার জামান, লেখক, সুইডেন

দেলোয়ার হোসেন, সাংবাদিক, সুইডেন

জাহানারা নুরী, সাংবাদিক, সুইডেন

বাঁধন মুন্সি, ব্লগার ও অ্যাক্টিভিস্ট, জার্মানি

মারজান প্রধান, অধিকার কর্মী, জার্মানি

আজম খান, ব্লগার ও অ্যাক্টিভিস্ট, সুইজারল্যান্ড

বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুন নবী, একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ও বিজ্ঞানী, ইউএসএ

বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. জিনাত নবী, বিজ্ঞানী ও সমাজচিন্তক, ইউএসএ

বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম, গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী, ইউএসএ

বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাহমুদউল্লাহ, কলামিস্ট, ইউএসএ

বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত বিশ্বাস, কলামিস্ট, ইউএসএ

কুলদা রায়, কথাসাহিত্যিক, ইউএসএ

হাসানআল আব্দুল্লাহ, কবি ও প্রাবন্ধিক, ইউএসএ

শীলা মোস্তফা, কবি, ইউএসএ

অধ্যাপক ড. নীরু কে. নাহার, লেখক ও শিক্ষক, ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ

ড. মোঃ আবু নাসের রাজীব, অধ্যাপক ও চেয়ারপারসন, কমিউনিকেশন্স বিভাগ, ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি, বেকার্সফিল্ড, ইউএসএ

ড. রায়হান জামিল, শিক্ষাবিদ, গবেষক ও লেখক, ইউএসএ

সেজান মাহমুদ, লেখক, গীতিকার, কলামিস্ট ও চিকিৎসাবিজ্ঞানী, ইউএসএ

সুলতানা রহমান, সাংবাদিক ও উপস্থাপক, ইউএসএ

মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সাংবাদিক ও লেখক, ইউএসএ

লুৎফুন নাহার লতা, লেখক ও অভিনয়শিল্পী, ইউএসএ

ফারজাহান রহমান শাওন, ডিরেক্টর, সেন্টার ফর টিচিং এন্ড লার্নিং, নর্দান নিউ মেক্সিকো কলেজ, ইউএসএ

ফকির ইলিয়াস, কবি, ইউএসএ

ফারহানা ইলিয়াস তুলি, কবি, ইউএসএ

সৈয়দ জাকির আহমেদ রনি, অভিনেতা ও নাট্যকর্মী, ইউএসএ

ড. আঞ্জুমান এ ইসলাম, পানি ও পরিবেশ প্রকৌশলী, গবেষক ও কলামিস্ট, ইউএসএ

ওবায়দুল্লাহ মামুন, লেখক ও গবেষক, ইউএসএ

স্বপ্নীল ফিরোজ, কবি, ইউএসএ

খালেদ সরফুদ্দীন, কবি, ইউএসএ

স্মৃতি ভদ্র, কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষক, ইউএসএ

তৈমুর ফারুক তুষার, সাংবাদিক ও উপস্থাপক, ইউএসএ

বিকাশ মজুমদার, অধিকার কর্মী, ইউএসএ

পুষ্পিতা অনিন্দিতা, অধিকার কর্মী, ইউএসএ

মিনহাজ আহমেদ, লেখক, ইউএসএ

মনজুর কাদের, লেখক, ইউএসএ

জি এইচ আরজু, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠক, ইউএসএ

মিথুন আহমেদ, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠক, ইউএসএ

সিসিলিয়া মোরাল, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠক, ইউএসএ

সাবিনা নীরু, আবৃত্তি শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মী, ইউএসএ

আবু সাইদ রতন, লেখক, ইউএসএ

মুজাহিদ আনসারী, কলামিস্ট, ইউএসএ

দেলওয়ার এলাহী, কবি ও সংস্কৃতি কর্মী, ইউএসএ

কৌশিক আহমেদ, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক, ইউএসএ

আসলাম আহমাদ খান, সাংবাদিক ও লেখক, ইউএসএ

ক্ল্যারা রোজারিও, আবৃত্তি শিল্পী, ইউএসএ

এ্যানি ফেরদৌস, সাংস্কৃতিক সংগঠক, ইউএসএ

শাকিলুর রহমান, সাংবাদিক, ইউএসএ

নাহার তৃণা, কথাসাহিত্যিক, ইউএসএ

সাগর লোহানী, সাংবাদিক ও সম্পাদক, বাঙালীয়ানা, ইউএসএ

সালমা বাণী, কথাসাহিত্যিক, কানাডা

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, কবি, কানাডা

শওগাত আলী সাগর, সাংবাদিক ও প্রধান সম্পাদক, নতুন দেশ, কানাডা

হারুন আল রশিদ, কথাসাহিত্যিক ও সাবেক কূটনীতিক, কানাডা

খন্দকার ইসমাইল, সাংবাদিক ও উপস্থাপক, কানাডা

শায়লা আহমেদ লোপা, অধিকার কর্মী, কানাডা

আফসানা কিশোয়ার লোচন, সাংবাদিক ও উপস্থাপক, কানাডা

ড. শামীম আহমেদ জিতু, অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও লেখক, কানাডা

ড. মোহাম্মদ মাহমুদ হাসান টিপু, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, আইন ও লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগ, কার্লটন ইউনিভার্সিটি, কানাডা

আবদুল্লাহ আল ইমরান, সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক, কানাডা

পারভেজ চৌধুরী, কবি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, কানাডা

আবদুল্লাহ আল মামুন, লেখক ও পিএইচডি গবেষক, কানাডা

নাদিম ইকবাল, ডকুমেন্টারি ও ফিল্মমেকার, কানাডা

সোহেল সালেহ, লেখক ও ব্যাংকার, কানাডা

ফজলুল বারী, সাংবাদিক, অস্ট্রেলিয়া

ড. তারিক জামান, বিজ্ঞানী ও লেখক, অস্ট্রেলিয়া

অজয় দাশ গুপ্ত, প্রাবন্ধিক, কলাম লেখক, ছড়াকার ও মিডিয়া পার্সোনাল, অস্ট্রেলিয়া

আবুল হাসনাৎ মিল্টন, কবি ও চিকিৎসক, অস্ট্রেলিয়া

আকাশ আনোয়ার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠাতা, বাংলা একাডেমি অস্ট্রেলিয়া

আরিফুর রহমান, কথাসাহিত্যিক, অস্ট্রেলিয়া

মহিবুল আলম, কথাসাহিত্যিক, অস্ট্রেলিয়া

 

 

You might also like