ই–জিপিতে দুর্নীতি কমেনি, প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে: টিআইবি

২৯

আওয়ামী লীগ আমলে অনলাইনে সরকারি কেনাকাটায় দুর্নীতি কমাতে ই–জিপি ব্যবস্থা চালু করলেও তা সফল হয়নি বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

- Advertisement -

- Advertisement -

সংস্থাটির এক গবেষণায় দেখা যায়, একযুগ ধরে ই-জিপি চালু হলেও বাস্তব চিত্র উল্টো। ঠিকাদারদের যোগসাজশ ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে জিম্মি সরকারি ক্রয় খাত। ২০১২ থেকে ই-টেন্ডারে কেনাকাটার ৯২ শতাংশই করে ১০টি মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে এসব তথ্য তুলে ধরেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

২০১২ সালে কেনাকাটায় দুর্নীতি কমাতে চালু হয় ভার্চুয়াল কার্যক্রম ই-জিপি বা ই-টেন্ডার।

টিআইবির গবেষণা বলছে, কিন্তু আদতে দুর্নীতি কমাতে পারেনি এ উদ্যোগ।

টিআইবি বলছে, ২০১২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ই-টেন্ডারে যত কেনাকাটা হয়েছে তার ৯২ শতাংশই করেছে মাত্র ১০টি মন্ত্রণালয়। হাতেগোনা কয়েকজনই ঘুরেফিরে পেয়েছেন কাজ। কখনো একক নামে, কখনো যৌথ মূলধনি প্রতিষ্ঠান খুলে কাজ বাগিয়ে নেওয়া হতো।

টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ক্রয় প্রক্রিয়ায় জড়িত কর্মকর্তাদের একাংশ, অন্যদিক থেকে যারা ঠিকাদার এবং কর্তৃপক্ষের আঁতাতের মাধ্যমে যা হয় সেটিই আরও ডিজিটালাইজড ওয়েতে আরও বেশি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে।’

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক জানান, সরকারি ক্রয় খাতকে জিম্মি করা হয়। দুর্নীতি কমাতে ই-জিপি চালুর কথা বলা হলেও উল্টো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় দখলদারিত্ব।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি ক্রয় খাত একটা নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় জিম্মিদশায় আছে। আজকের পরিপ্রেক্ষিতে যে বার্তাটি আমরা দিতে চাই, সেটা হচ্ছে যখন হাতবদল হয় তখন ঠিকই নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত থাকে।’

টিআইবি বলছে, একযুগ ধরে ৬১ শতাংশের বেশি কাজ গেছে ৫ শতাংশ ঠিকাদারের কাছে। যেখানে ১০ শতাংশ ঠিকাদারের দখলে ১ শতাংশেরও কম বাজার।