বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুজিবনগর সরকারে থাকা সবাই মুক্তিযোদ্ধা জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। তিনি বলেছেন, মুজিবনগর সরকার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করার কারণে সেই সরকারের সঙ্গে যুক্ত সবার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি থাকবে।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান তিনি।উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবে। যারা সশস্ত্রভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, যারা পরিচালনা করেছে তারা মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওই সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবেন।
তিনি আরও বলেছেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ কূটনীতিকরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। সহযোগী মানে এ নয় যে তাদের সম্মান ক্ষুণ্ন করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ করে তা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও এটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।
ফারুক ই আজম বলেন, ১৯৭২ সালে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞাই বাস্তবায়ন করেছে। ২০১৮ ও ২০২২ সালে এটা পরিবর্তন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী দুইয়েরই সম্মান, মর্যাদা, সুযোগ-সুবিধা একই থাকবে। জাতিগতভাবে মুক্তিযুদ্ধ না করলে আমরা স্বাধীন হতে পারতাম না। মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে গৌরব আমাদের জাতির ইতিহাসে আর কিছু হয়নি।
মঙ্গলবার রাতে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫ জারি করা হয়। রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে এ অধ্যাদেশের গেজেট জারি করে মন্ত্রণালয়।
ওই অধ্যাদেশে বিদেশে থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ভূমিকা রাখা ব্যক্তি, মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডাক্তার-নার্স, মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত পরবর্তীতে গণপরিষদের সদস্যদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এছাড়া, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে সব শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশে বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাংবাদিক এবং স্বধীন বাংলা ফুটবল দলকেও সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হবে।