রোজার আগেই বেড়েছে লেবু-বেগুন-শসার দাম

২৪

সবজিসহ অধিকাংশ প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে বেড়েছে বেগুন, কাঁচামরিচ, শসা ও লেবুসহ কয়েকটি পণ্যের দাম।

- Advertisement -

- Advertisement -

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের ডালের দাম গত বছরের চেয়ে ১০ থেকে ২০ টাকা কম। স্থিতিশীল চিনি, পেঁয়াজসহ সবজির বাজার। তবে সংকট কাটেনি ভোজ্যতেলের।

প্রতি বছর রমজান এলেই ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতা শুরু হয় পণ্যের দাম বাড়ানোর। কোনো কোনো পণ্যের দাম থাকে লাগামহীন। তবে এখন পর্যন্ত এবারের চিত্র খানিকটা ভিন্ন।

রমজানের আগে রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোলা, চিনি, আদা, পেঁয়াজ, রসুন, মসুর ডালের দাম গত মাসের চেয়ে কমেছে। খুচরায় মসুরের ডাল ১১০ থেকে ১১৫ টাকা, দেশি মুগ ডাল ১৬০ টাকা, খেসারির ডাল ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সাদা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকার মধ্যে। পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে কেজিতে ২০ টাকা করে বেড়েছে আদা ও রসুন দাম।

ক্রেতারা জানান, লেবু, বেগুন, কাঁচামরিচের দাম বাড়লেও স্বাভাবিক আছে অন্যান্য সবজির দাম। কাঁচামরিচ কেজিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর ডজন আগে ৮০ টাকায় মিললেও এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে।

বিক্রেতারা জানান, ভোজ্যতেলের বাজারে এখনও আছে কৃত্রিম সংকট। বোতলের সয়াবিন তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই বলে দাবি করছেন তারা।

এদিকে বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। সোনালি মুরগি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ৩০০ টাকা। দাম বাড়েনি গরু ও খাসির মাংসের। মাছের দামও অপরিবর্তিত।

এ ছাড়া বাজারে স্থিতিশীল আছে খেজুর, ছোলা, চিড়া, মুড়ি, গুড়সহ বিভিন্ন পণ্যের দাম।