শেয়ার বাজার ধ্বসে এখন সাধারণ বিণিয়োগকারিদের সকল ক্ষোভ গিয়ে পড়েছে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের ওপর । গত সপ্তাহে পুজিবাজারের সূচক আর লেনদেন যখন ছিল শুধুই পতনের দিকে তখন রাজপথে নেমে ক্ষুদ্ধ বিণিয়োগকারিরা রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ চেয়েছেন। দেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্যসূচকে পুজিবাজার গুরুত্বপুর্ণ। সেই বাজারের মূলধন খোয়ানো আর দেশি-বিদেশি বিণিয়োগকারিদের মুখ ফিরিয়ে নেয়াকে পাত্তা দিচ্ছিল না অর্ন্তবর্তী সরকার। যদিও প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বিদেশ থেকে এনে অর্থ মন্ত্রনালয়ের জন্য এমন একজন বিশেষ সহকারি নিয়োগ দিয়েছেন যার অন্যতম দায়িত্ব ছিল শেয়ারবাজার দেখাশোনা করা। এরই মধ্যে সেই বিশেষ সহকারি ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী একধিক বৈঠক করেছেন কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। ফলে আগামীকাল রবিবার শেয়ার বাজারের সকল স্টেকহোল্ডার দেন বৈঠক ডেকেছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা । আর এই বৈঠকে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা এসইসি চেয়ারম্যান তার সফর সংক্ষিপ্ত করে ঢাকায় ফিরেছেন ।
সবশেষ কার্যদিবস গত ৮ মে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ছিল ৪ হাজার ৯০২ পয়েন্ট। ৭ মে একদিনে ১৫৯ পয়েন্টের পতনে এই সূচক নেমেছিল ৪ হাজার ৮০২ পয়েন্টে। কিন্তু এই ৫ হাজার ৭৭৮ পয়েন্ট ছিল যখন ১৮ আগস্ট নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন রাশেদ মাকসুদ । পুজিবাজার সংস্কার করতে গিয়ে তিনি এমন কিছু পদক্ষেপ নিতে চেয়েছিলেন যাতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল খোদ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের অভ্যন্তরেই । কমিশনের বিক্ষুদ্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চেয়ারম্যান এবং কমিশনারদের অবরুদ্ধ করলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেছিলেন। এই ঘটনায় কয়েকজন পরিচালক,উপপরিচালককে বরখাস্ত করা হয়েছে। হয়ে মামলাও । গনমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে “ এপ্রিলেই পুচিবাজারে মুলধন কমলো ১৮ হাজার কোটি টাকা ’’ আর বিণিয়োগকারিরা নিজেদের “ জীবন্ত লাশ ’’ বলছেন টিভি টকশোতে।
গত ৬ মে অর্থমন্ত্রনালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এক চিঠিতে আগামীকাল ১১ মে দুপুর ১২ টায় যে বৈঠকের কথা বলা হয়েছে, সেখানে অর্থ উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি,আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ও এসইসির চেয়ারম্যানকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।