গণহত্যার প্রতিবাদে মালদ্বীপে ইসরায়েলিদের ‘প্রবেশ নিষেধ’

15

ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে ‘দৃঢ় সংহতি’ জানিয়ে বিলাসবহুল পর্যটন দ্বীপপুঞ্জগুলোতে ইসরায়েলি নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে মালদ্বীপ।

- Advertisement -

- Advertisement -

মঙ্গলবার সংসদে আইনটি অনুমোদনের পরপরই দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু এটির অনুমোদন দেন।

তার কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “এই অনুমোদন ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েল কর্তৃক সংঘটিত অব্যাহত নৃশংসতা এবং গণহত্যার বিরুদ্ধে সরকারের দৃঢ় অবস্থানকে প্রতিফলিত করে। মালদ্বীপ ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার দৃঢ় সংহতি পুনর্ব্যক্ত করল।”

মুইজ্জুর কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞাটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হবে।

কৌশলগতভাবে অবস্থিত ১ হাজার ১৯২টি প্রবাল দ্বীপের একটি ছোট ইসলামী প্রজাতন্ত্র মালদ্বীপ তার নির্জন সাদা বালুকাময় সৈকত, অগভীর ফিরোজা উপহ্রদ এবং রবিনসন ক্রুসো-স্টাইলের ছুটির জন্য পরিচিত।

সরকারি তথ্য অনুসারে, ফেব্রুয়ারিতে দুই লাখ ১৪ হাজার বিদেশী পর্যটকের মধ্যে মাত্র ৫৯ জন ইসরায়েলি পর্যটক দ্বীপপুঞ্জে ভ্রমণ করেছেন।

মালদ্বীপ ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে ইসরায়েলি পর্যটকদের ওপর থেকে পূর্ববর্তী নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল। তবে ২০১০ সালে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের জন্য ছোট পদক্ষেপ নিয়েছিল।

মালদ্বীপের বিরোধী দল এবং সরকারি মিত্ররা গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা করে ইসরায়েলিদের নিষিদ্ধ করার জন্য মুইজ্জুর ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বছর তাদের নাগরিকদের মালদ্বীপ ভ্রমণ এড়াতে অনুরোধ করেছিল।

রবিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ১ হাজার ৬১৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামলা শুরু হওয়ার পর গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ৯৮৩ জনে পৌঁছেছে।

You might also like