বিদেশি চলচ্চিত্রে শতভাগ শুল্ক আরোপ করতে চান ট্রাম্প

16

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি চলচ্চিত্রের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার দাবি, বিদেশি প্রতিযোগিতার চাপে যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি ‘হলিউড’ দ্রুত ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে।

- Advertisement -

- Advertisement -

রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, বিদেশে নির্মিত যেকোনো চলচ্চিত্রের ওপর শুল্ক আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করতে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং মার্কিন ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভকে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি লেখেন, “অন্যান্য দেশ আমাদের নির্মাতাদের প্রণোদনা দিচ্ছে, তাদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে টেনে নিচ্ছে। এতে হলিউডসহ দেশের অনেক শিল্পক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, “এটি বিদেশি দেশগুলোর সমন্বিত চেষ্টা, যা জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি হয়ে উঠেছে। সিনেমা এখন শুধু বিনোদন নয়, এর সঙ্গে জড়িত বার্তা ও প্রচারণা—সবই এখন আক্রমণের লক্ষ্য।”

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “আমরা এখন খুব কম চলচ্চিত্র বানাচ্ছি। অনেক দেশ আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি চুরি করে নিয়েছে। তারা যদি যুক্তরাষ্ট্রে চলচ্চিত্র না বানাতে চায়, তাহলে আমরা তাদের সিনেমার ওপর শুল্ক বসাব।”

তবে এই শুল্ক কেমনভাবে কার্যকর হবে, বা যদি কোনো চলচ্চিত্র একাধিক দেশে তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে কী হবে—সে বিষয়ে ট্রাম্প কোনো ব্যাখ্যা দেননি।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে হলিউডের হারানো ব্যবসা ফিরিয়ে আনতে ট্রাম্প ‘বিশেষ দূত’ হিসেবে অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোন, মেল গিবসন ও জন ভয়েটকে নিয়োগ দেন।

সে সময় তিনি বলেন, এই তিন তারকা তার “চোখ ও কান” হয়ে কাজ করবেন, কারণ তিনি যুক্তরাষ্ট্রে “হলিউডের সোনালি যুগ” ফেরাতে চান।

২০২৩ সালের লেখক ও অভিনেতাদের ধর্মঘট এবং কোভিড-১৯ মহামারির পরে যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্রশিল্প এখনও পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

বক্স অফিস বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান গাওয়ার স্ট্রিট অ্যানালিটিক্স জানায়, ২০২৪ সালে হলিউড স্টুডিওগুলোর বৈশ্বিক আয় দাঁড়ায় প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ কম। যদিও তা মহামারিকালের চেয়ে কিছুটা বেশি, তবে এখনও ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম।

You might also like