জনগণের পক্ষের রাজনীতিবিদ কখনো পালায় না: রিজভী

৩৬

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর বিগত সরকারের অত্যাচার ও নিপীড়নের কথা উল্লেখ করে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এরপরও তিনি পালিয়ে যাননি।

- Advertisement -

- Advertisement -

তিনি বলেন, ‘জনগণের পক্ষের কোনো রাজনীতিবিদ কখনো পালায় না। তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বেগম খালেদা জিয়া। আপনার দেখেছেন এত উৎপীড়ন এত অত্যাচার এত বন্দিত্ব… তারপরও তিনি তার জনগণ আর দেশে ছেড়ে যাননি। এটাই তাদের (আওয়ামী লীগ) সঙ্গে পার্থক্য বিএনপির।’

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভাষা শহীদদের স্মরণে জাতীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, ‘আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে, ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন। তাদের রক্তাক্ত পথ পেরিয়ে চূড়ান্ত যে আন্দোলন, মহাবিপ্লব জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সেই ভয়ঙ্কর উৎপীড়ক এবং রক্তপিপাপু স্বৈরাচার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।’

রিজভী বলেন, ‘আমরা একটা ধাপ অতিক্রম করেছি, স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। এখন গণতন্ত্রের পথে যাওয়ার জন্য আমরা সেই পথ দিয়ে হাঁটছি। আমরা আমাদের দাবিগুলো বলছি। দাবিগুলো হচ্ছে- একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে এবং সবার আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে। আমরা আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার সেই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার জন্যই আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেবে।’

তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি আপনারা সংস্কার করবেন কিন্তু একটি সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেটা আপনারা শেষ করবেন। তারপর সংসদ নির্বাচনের দিকে আপনারা এগোবেন। একটি গণতান্ত্রিক বিশ্বাসী দল ক্ষমতায় থাকলে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন স্থানীয় পর্যায়েও হওয়া সম্ভব।

বিএনপির এ নেতা বলেন, জাতীয় না স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে- এই বিতর্ক করে জাতীয় সরকারকে পিছিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। জনগণ নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে যে সরকার গঠন করবে তারাই নির্ধারণ করবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বা অন্যান্য নির্বাচন কখন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করা, তার সঙ্গে আরও কিছু আনুষঙ্গিক কাজ আছে, সংস্কার আছে, যেটা প্রয়োজনীয় সংস্কার। যে সময় আছে সে সময়েই সংস্কার করা সম্ভব। কিন্তু জনগণকে আশ্বস্ত করতে হবে।