চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন আবদুল হামিদ

3

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসা নিয়ে এক মাস পর দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।

- Advertisement -

- Advertisement -

রোববার গভীররাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা পৌঁছান বলে জানিয়েছেন শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীর সামাদ।

তিনি বলেন, “থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩৯৯ ফ্লাইট, যেটা রাত ১টা ২৫ মিনিটে বিমান বন্দরের পৌঁছায়; সেই ফ্লাইটে তিনি (আবদুল হামিদ) এসেছেন।”

আবদুল হামিদের সঙ্গে ছিলেন তার শ্যালক নওশাদ খান ও ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার। সাবেক রাষ্ট্রপ্রধানকে উড়োজাহাজ থেকে হুইল চেয়ারে নামানো হয়। তার পরনে লুঙ্গি ও নীল রঙের একটি চাদর দেখা গেছে।

গত ৭ মে গভীর রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কিশোরগঞ্জের এক মামলার আসামি হয়েও তিনি কীভাবে দেশত্যাগ করলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে।

এরপর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।

আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে আলোচনার মধ্যে কয়েকটি দলের দাবির মুখে গত মাসে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়। একইসঙ্গে স্থগিত করা হয় দলটির নিবন্ধন।

সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে শোরগোলের মধ্যে তাকে নিয়ে ১৪ মে ফেইসবুকে ‘আবেগঘন’ পোস্ট দেন তার ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষার।

বাবা ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত জানিয়ে তিনি লিখেছিলেন, “৮২-৮৩ বৎসরের একজন বয়স্ক লোক যিনি কিনা অসুস্থতার কারণে এখন ২ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না। ২ ঘণ্টা বসে থাকতে পারছেন না; বাধ্য হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়েন।

“ওজন কমতে কমতে ৫৪ কেজিতে দাঁড়িয়েছে; যে কারণে নিজের কোনো প্যান্ট পরতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে লুঙ্গি পরে থাকতে হচ্ছে। যাকে বেটার চিকিৎসার জন্য ডাক্তারগণ বোর্ড করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন বিদেশে চিকিৎসা করানোর জন্য।”

ডেপুটি স্পিকার ও স্পিকার হিসাবে দায়িত্ব পালনের পর আওয়ামী লীগের সময়ে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

তার মেয়াদ শেষে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন মো. সাহাবুদ্দিন। বঙ্গভবন ছাড়ার পর রাজধানীর নিকুঞ্জের বাসায় থাকেন আবদুল হামিদ।

You might also like