বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক পুনর্বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দ্রুততার সঙ্গে শুল্ক যৌক্তিকীকরণের বিকল্পসমূহ চিহ্নিত করছে, যা এই বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয়।”
ফেসবুকে এক পোস্টে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।
শফিকুল আলম উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং আমাদের বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য। ট্রাম্প প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমরা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের চলমান প্রচেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে মিলে শুল্ক সমস্যাটি সমাধানে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘লিবারেশন ডে’ ঘোষণা করে বিশ্বব্যাপী আমদানিকৃত পণ্যের ওপর সর্বনিম্ন ১০% শুল্ক আরোপ করেন। এর পাশাপাশি, নির্দিষ্ট কিছু দেশের ওপর উচ্চ হারে শুল্ক ধার্য করা হয়; যেমন, চীনের ওপর ৩৪ শতাংশ, ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ এবং বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়।
দেশটির এমন পদক্ষেপের ফলে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য, বিশেষ করে ফ্যাশন শিল্পে সরবরাহ শৃঙ্খলে অস্থিরতা দেখা দেওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকার শুল্ক নীতিতে পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০২৬ সালের মধ্যে ৬০টি শুল্ক লাইনের হার যৌক্তিকীকরণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যেখানে শুল্ক ও অন্যান্য করের সমষ্টি নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেছে।
এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পূরণ করা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নিশ্চিত করা।
এছাড়া সরকার ন্যূনতম আমদানি মূল্য (মিনিমাম ইমপোর্ট প্রাইস) বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে তা সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আমদানি প্রক্রিয়া সহজতর করা এবং বাজারে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে।