ইউক্রেনকে ৫ কোটি ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

20

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন প্রথমবারের মতো ইউক্রেনকে ৫ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহে সম্মতি দিয়েছে। কিয়েভ-ওয়াশিংটন খনিজ চুক্তির পর এমন সিদ্ধান্ত নিলেন ট্রাম্প।
এই অস্ত্র চুক্তি এমন এক সময় হচ্ছে, যখন ট্রাম্প প্রশাসনের রাশিয়া-ঘেঁষা অবস্থান নিয়ে ইউক্রেনে হতাশা তৈরি হয়েছিল। নতুনভাবে শুরু হওয়া খনিজ অংশীদারিত্ব সেই সম্পর্কের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়ে দিয়েছেন, এই সপ্তাহেই ট্রাম্পের সঙ্গে ভ্যাটিকানে তার একান্ত বৈঠকের ফল হিসেবেই খনিজ চুক্তি হয়েছে। এর পরপরই এসেছে অস্ত্র সহায়তার ঘোষণা। তিনি বলেন, “আমরা এখন ভ্যাটিকান বৈঠকের প্রথম ফলাফল পেলাম। এটা ঐতিহাসিক।”
চুক্তি অনুসারে ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে একটি তহবিল গঠন করবে। যেখানে অর্থ আসবে খনিজ, তেল ও গ্যাসের খনন থেকে।
জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক বলেন, “চুক্তিতে কোথাও সরাসরি লেখা নেই যে, ইউক্রেন এই অস্ত্র পাবে। কিন্তু আলোচনার পথ খুলে দিয়েছে এটি। তিনি আরও জানান, ট্রাম্প প্রশাসন আলোচনার শুরুতে কঠোর অবস্থান নিলেও পরে বাস্তবসম্মত অবস্থানে আসে।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসনের মনোভাব বদলাচ্ছে। এর আগে সামরিক সহায়তা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত থাকলেও এখন তা আবার চালু হচ্ছে।
নতুন এই চুক্তির মাধ্যমে কিয়েভ ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক নয়, বাণিজ্যিক দিক থেকেও গভীর হচ্ছে। ইউক্রেনের জন্য এটি নতুন বিনিয়োগ সম্ভাবনা তৈরি করছে। সেই সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পথে ইউক্রেনের অগ্রযাত্রায় কোনও বাধা দেবে না—এটিও স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে।
আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো—এই চুক্তির আওতায় অতীতে ইউক্রেনকে দেওয়া সহায়তার অর্থ ফেরত নেওয়ার কোনও কথা নেই। যা ট্রাম্প প্রশাসনের আগের অবস্থানের একদম বিপরীত।
পোডোলিয়াক জানাচ্ছেন, এখন থেকে ইউক্রেনকে মার্কিন অস্ত্র কিনে নিতে হবে। সে কারণে আগে থেকেই ঠিক করতে হবে—কোন অস্ত্রগুলো লাগবে, আর কোনটা নিজেরাই বানাতে পারবে। ড্রোনের মতো কিছু প্রযুক্তি ইউক্রেন নিজেরাই তৈরি করতে চায়।

- Advertisement -

- Advertisement -

You might also like