যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে হাজারো মানুষ

25

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে একযোগে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক কিছু নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে হাজার হাজার মানুষ।
শনিবার আয়োজিত এই আন্দোলনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘৫০৫০১’ — যার মানে ‘৫০টি প্রতিবাদ, ৫০টি রাজ্য, ১টি আন্দোলন’। আয়োজকরা বলছেন, এটি আমেরিকান বিপ্লব যুদ্ধ শুরুর ২৫০ বছর পূর্তিকে স্মরণ করেই আয়োজন করা হয়েছে।
‘৫০৫০১’ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম হলেও, দেশজুড়ে ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা দেখা গেছে।
বিক্ষোভকারীরা ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসের সামনে, টেসলা কোম্পানির দোকানের সামনে এবং বিভিন্ন শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থান নেন।
বিক্ষোভে অনেকেই কিলমার আবরেগো গার্সিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। কিছুদিন আগে ভুলবশত তাকে এল সালভাদরে ফেরত পাঠায় ট্রাম্প প্রশাসন।
বিক্ষোভকারীদের অনেকে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্মেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)’ নামের ব্যয়-সাশ্রয়ী উদ্যোগের বিরোধিতা করেন। তাদের অভিযোগ, এই বিভাগের কার্যক্রমে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভে অংশ নিয়ে গিহাদ এলজেন্ডি সিএনএন-কে বলেন, “ট্রাম্প চাইলে এল সালভাদরকে চাপ দিয়ে গার্সিয়াকে ফিরিয়ে আনতে পারতেন।”
বিক্ষোভগুলো সামগ্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান সুহাস সুব্রামানিয়াম সামাজিক মাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যাতে দেখা যায়, এক ট্রাম্প সমর্থক ব্যানার হাতে ভিড়ের মধ্যে প্রবেশ করে বিতর্কে জড়ান।
কয়েকজন বিক্ষোভকারীর হাতে ‘নো কিংস’ লেখা পোস্টার ছিল। এটি আমেরিকান বিপ্লবের সময় রাজতন্ত্রবিরোধী স্লোগান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
ম্যাসাচুসেটসের লেক্সিংটন ও কনকর্ডের যুদ্ধস্মরণ অনুষ্ঠান এবং পল রিভিয়ারের ঐতিহাসিক যাত্রার স্মরণে আয়োজিত সমাবেশেও একই বার্তা তুলে ধরা হয়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা থমাস বাসফোর্ড বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, “এখন আমেরিকার জন্য ভয়ঙ্কর সময়। আমি চাই আমার নাতি-নাতনিরা জানুক— মাঝে মাঝে স্বাধীনতার জন্য আবারও লড়তে হয়।”
গ্যালাপের সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম তিন মাসে তার কাজের প্রতি জনসমর্থন ৪৫ শতাংশ, যা আগের মেয়াদের একই সময়ের (৪১ শতাংশ) তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে ১৯৫২ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টদের গড় সমর্থন ছিল ৬০ শতাংশ।
আরেকটি জরিপে দেখা গেছে, অর্থনীতিতে ট্রাম্পের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টির হার ৩৭ শতাংশ, যা জানুয়ারিতে ছিল ৪২ শতাংশ।
চলতি মাসের শুরুতে ‘হ্যান্ডস অফ’ নামে আরেকটি বিক্ষোভ হয়। সেটি ছিল ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ কর্মসূচি।

- Advertisement -

- Advertisement -

You might also like