আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যা বলল

30

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র ‘অবগত’ বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। তারা বলেছে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।
১৩ মে ওয়াশিংটনে নিয়মিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র থমাস টমি পিগট বলেন, “আমরা অবগত আছি যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে।”
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না জানিয়ে পিগট বলেন, “আমরা সব দেশকে আহ্বান জানাই—মত প্রকাশ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠনের স্বাধীনতা যেন সম্মান করা হয়।”
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং জুলাই আন্দোলনের কর্মী, ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, রাজনীতির পরিসর সংকুচিত করেছে এবং সার্বভৌমত্ব নিয়ে আপস করেছে। দলটি যে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, তার ক্ষত এখনও টাটকা।”
এক প্রশ্নের জবাবে পিগট বলেন, “বাংলাদেশ ও তার জনগণের সঙ্গে ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের অংশীদারত্বকে আমরা মূল্য দিই। এই অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাব।”
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, “আওয়ামী লীগের উপর যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই নিষেধাজ্ঞা আরোপ উদ্বেগজনক।”
১৩ মে নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে আমরা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন, কারণ এতে গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হচ্ছে এবং রাজনীতির পরিসর সংকুচিত হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বাংলাদেশে দ্রুত একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পক্ষে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করছি।”
সরকার ইতোমধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

- Advertisement -

- Advertisement -

You might also like