ফিলিস্তিনি ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রে বাতিল শত শত শিক্ষার্থীর ভিসা, অধিকাংশই ভারতীয়

19

ফিলিস্তিনি ইস্যুকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে শত শত শিক্ষার্থীর ‘এফ-১’ স্টুডেন্ট ভিসা বাতিল করা হচ্ছে।

- Advertisement -

- Advertisement -

ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১ হাজার ৫০০ জনের ভিসা বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

এর আগে গত মাসেই বাতিল করা হয়েছিল ৩২৭ জনের ভিসা। টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ভারতীয় শিক্ষার্থী। এই তালিকায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও রয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পোস্টে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশির সংখ্যা ঠিক কত জন- তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

দেশটির অভিবাসন কর্মকর্তাদের বরাতে জানা যায়, বাতিল হওয়া ভিসাধারীদের মধ্যে সদ্য স্নাতকরাও রয়েছেন। যারা পড়াশোনা শেষ করে কাজের ভিসা নিয়ে দেশটিতে অবস্থান করছিলেন।

এ ছাড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এর মধ্যে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলও রয়েছেন।

সরকার খলিলের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইনের একটি বিরল ধারা প্রয়োগ করেছে। যেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যদি মনে করেন, কোনো বিদেশি নাগরিকের উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির জন্য ক্ষতিকর- তবে তার বৈধ স্থায়ী বসবাসের অধিকার বাতিল করা যেতে পারে। এমনকি যদি তিনি কোনো অপরাধ নাও করে থাকেন।

যাদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে, তারা মূলত ২০২৪ সালে গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদ করেছিলেন। যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ফিলিস্তিনিদের পোস্ট দিয়েছিলেন। তাদেরও ভিসা বাতিল করা হচ্ছে।

আরও অনেকের ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং যাচাই বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ভুল ভ্রান্তি হতে পারে।

সিএনএন বলছে, এ ছাড়াও ট্রাফিক আইন লংঘনের মতো সামান্য কারণেও অনেকের ভিসা বাতিল করা হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, ভিসা বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিদ্বেষ ও হামাস-পন্থী মনোভাব ছড়িয়েছে। যদিও শিক্ষার্থীদের আইনজীবীরা দাবি করেছেন, অভিযোগ সত্য নয়। এ সময় বহু ইহুদিও যুদ্ধবিরতি বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন।

গণমাধ্যমগুলো বলছে, কেবল ভিসা বাতিলই নয়। এক অর্থে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হচ্ছে। ফলে তারা আর কোনোদিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, কোনো অ্যাক্টিভিস্টকে যুক্তরাষ্ট্রে স্টুডেন্ট ভিসায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তারা ভিসা নিয়ে এসেছে- ক্লাস করবে, পড়াশোনা করবে। তাদের এমন কর্মকান্ডে জড়িত হওয়া উচিত নয়, যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দুর্বল করে।

 

You might also like