রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর সম্পর্কের টানাপোড়েনে বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত সরকার।
শনিবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য পরিদপ্তরের আদেশে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকরের কথা বলা আছে। এরই মধ্যে যেসব ক্রয়াদেশ দেওয়া হয়েছে, তার কী হবে, সেই ব্যাখ্যা অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা পণ্যগুলো হলো:
তৈরি পোশাক
বেকারি পণ্য
চিপস ও কনফেকশনারির মতো প্রক্রিয়াজাত খাদ্য
ফল ও ফলফ্লেভারড বা কার্বনেটেড পানীয়
সুতির বস্ত্র ও সুতির তৈরিজাত বর্জ্য
প্লাস্টিক ও পিভিসি ফিনিশড পণ্য
শিল্পে ব্যবহৃত ডাই, প্লাস্টিসাইজার ও গ্রানুলস
এই পণ্যগুলো ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরাম রাজ্যের ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন ও ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট দিয়ে ভারতে আমদানি করা যাবে না।
পশ্চিমবঙ্গের চাংরাবান্ধা ও ফুলবাড়ি দিয়েও আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তবে কলকাতা ও নাভা শেভা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
মাছ, এলপিজি, ভোজ্য তেল ও ক্রাশড স্টোনের মতো কিছু পণ্যও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েনি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নানা বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।
এর মধ্যে গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভারত থেকে স্থলপথে সুতা আমদানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত জানায়।
সেদিন একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বুড়িমারি ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সুতা আমদানির নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।
ভারতের সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে বাংলাদেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো, বিশেষ করে যারা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পণ্য সরবরাহ করে, তাদের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়া, সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাণিজ্য এবং স্থানীয় অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে চাপ পড়বে। ভারত বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করার পর এমনিতেই বন্দরগুলোতে বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। তার ওপর ভারতে সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে পণ্য রপ্তানি করলে সেই চাপ আরও বাড়বে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানির মোট পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে তৈরি পোশাক ছিল ৭০ কোটি ডলার। এর ৯৩ শতাংশই স্থলবন্দর দিয়ে যায়।
You might also like

সম্পাদক :মোঃ শাহজালাল
২০২৫ © ব্যানারনিউজবিডি কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
🚧 এই সাইটটি বর্তমানে নির্মাণাধীন 🚧
২০২৫ © ব্যানারনিউজবিডি কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
🚧 এই সাইটটি বর্তমানে নির্মাণাধীন 🚧
You cannot print contents of this website.